শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

‘আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে চাই’

রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) : বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ডা.এ এম সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেছেন-কৃষকের অবস্থা খারাপ কিন্তু সরকারি দলের নেতাদের অবস্থা খারাপ না। বাংলাদেশে ৫৪টা নদী যা ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছে। এদের মধ্যে ৫২টা নদী পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত একক করে প্রত্যাহার করে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা তিস্তার পানি পাইনা আমরা গঙ্গার পানি পাইনা। কিন্তু ফেনীর নদীর পানি তাদেরকে দিয়ে চলে আসি। আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে চাই। ভারত স্বাধীনতা সংগ্রামে আমাদেরকে সাহায্য-সহযোগীতা করেছিল। তাই বলে ভারতের গোলামী করার জন্য কিনে নেয় নাই।

তিনি শুক্রবার (১৮অক্টোবর) বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বানিয়াচং গ্যানিংগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সেক্রেটারি মরহুম আজিজুর রহমান ছবিল মিয়ার স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

বিকাল ৪টায় কাছারি পুকুরের উত্তর দিকে মরহুম ছবির মিয়ার নিজস্ব জায়গায় এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

ডা.জীবন আরো বলেন-বাংলাদেশের বর্ডারে ভারত ১৬টি রাডার তৈরী করছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য। আর সেই রাডার থেকে আমাদের পাখির মতো গুলি করে মারছে তারা। আমাদের দুর্বল নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে আমরা সব দিয়ে এসেছি কোনো কিছু আনতে পারি নাই। আমাদের নেতাকর্মীদের উপরে অনেক মিথ্যে মামলা দিয়েছে এই স্বৈরাচার সরকার। এ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য বিএনপির ও তার সমমনা দলকে একত্র হয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলতে হবে।

আজিজুর রহমান ছবিল মিয়া ছিলেন উদার মনের মানুষ। নির্লোভ এই মানুষটি মরনের আগ পর্যন্ত মানুষের সেবায় কাজ করে গেছেন। একজন সাদাসিধে সরল মনের মানুষ ছিলেন আমাদের ছবিল ভাই। বিএনপি যখন ক্ষমতায় তখন তিনি সভাপতি ছিলেন। মানুষকে সহজেই আপন করে নিতেন তিনি। তাই আসুন ছবিল ভাইয়ের পথ অনুসরণ করে রাজনীতি করি।

উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব মো.লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে ১ম য্গ্মু আহবায়ক শেখ বশীর আহমেদ ও য্গ্মু আহবায়ক খালেদ মিয়ার পরিচালনায় স্মরণ সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-কেন্দ্রী বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকৃত মেয়র আলহাজ্ব জিকে গউছ।

আলহাজ্ব জিকে গউছ তার বক্তৃতায় বলেন-আজকে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে ছবিল ভাইদের মতো ত্যাগী মানুষ খুবই দরকার। গত নির্বাচনে আপনারা দেখেছেন আমাদের নির্বাচিত প্রার্থীকে কিভাবে পরাজিত করা হয়েছে। ৩০তারিখের ভোট ২৯তারিখ রাতেই সিল মেরে বাক্সে ভরে রেখেছে তারা। কথা রয়েছে বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে কাঁদে। কিন্তু এখন আর সেই কথা নাই। এখন বিচারের বাণী চিৎকার করে কাঁদে। শুনার কেউ নেই। সেটা আমার কথা নয় সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার কথা। পুরো চিত্র বিশ্বের কাছে তোলে ধরেছেন তিনি। তাই আসুন সকলে মিলে ছবিল ভাইয়ে দেখানে পথে হাটি। আমার বিশ্বাস বানিয়াচংয়ে বিএনপিকে কেউ ধাবিয়ে রাখতে পারবেনা।

স্মরণ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান ফারছু, জেলা বিএনপির য্গ্মু আহবায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, এড.নুরুল ইসলাম, হাজী এনামুল হক, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুজিবুল হোসেন মারুফ, যুগ্ম আহবায়ক ওয়ারিশ উদ্দিন খান, ফরহাদ হোসেন বকুল, জমিয়তে উলামা ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল জলিল ইউছুফি, উপজেলা বিএনপির য্গ্মু আহবায়ক এড.আব্দুল কাদির, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সামছুল আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল হক শরীফ, জেলা ছাত্রদলের সেক্রেটারি রুবেল আহমেদ চৌধুরী, য্গ্মু আহবায়ক মাসুদ আহমেদ, ৯নং পুকড়া ইউপির সাবেক আহবায়ক আব্দুল কাদির দুলা মিয়া, ১নং ইউপি বিএনপির ১ম য্গ্মু আহবায়ক সাদিক মিয়া, কৃষকদলের সভাপতি এহিয়া খান, যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মিলন খান, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোবাশ্বির আহমেদ মজনু, উপজেলা জাসাসের সভাপতি আরশাদ ফজলে খোদা লিটন, তাঁতী দলের আহবায়ক মওদুদ আহমেদ, ছাত্রদলের য্গ্মু আহবায়ক শরীফ উদ্দিন ঠাকুর ও কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ফজলে হাসান রুমন।

পরিশেষে বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম আজিজুর রহমান ছবিল মিয়ার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ। স্মরণ সভায় উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com